শ্বাসের পাণ্ডুলিপি (০২) - ১৪৬১ঃ অতঃপর পুনর্জন্ম
১৪৬১ঃ অতঃপর পুনর্জন্ম
শুভ কর্মকার
মনে আছে ''বিভূতিজায়া'' বলে পূজেছিলাম?
দিয়েছিলাম দেবীর স্থান ! (রাক্ষসীকে)
বুঝিনি ! সেদিন থেকেই পতন শুরু আমার !
তোমায় রাক্ষসী বলা কোন অংশেই ভুল ছিল না,
ভুল করেছিলাম, তোমায় দেবীজ্ঞানে পূজালয়ে স্থান দিয়ে
ভেবেছিলাম, ব্রহ্মতেজে জন্মে হয়েছিলে ব্রহ্মময়ী
ভুল ! তুমি না ! সে শুধু দিতিই হয় । অদিতি সর্বগ্রাসী ।
১৪৬১ ক্ষণ নয়,
আশা সঁপেছিলাম কিয়ৎ অতিরিক্ত সময়
অপেক্ষা যে কতটা দুঃসহ তা জানাটা অবাঞ্চিত
তার চেয়েও অবাঞ্চিত/পরিত্যক্ত তো তুমি নারী !
তোমার অশুদ্ধ কথা, মুঠোবার্তা, চোখের চাহনি,
সাথে আপন হওয়ার কামিনী স্বরূপ ঐ মোহনীয় আদুরে কেশগাঁথা।
সেদিনের মত স্বাধীন
কখনো অনুভব করেছি কিনা নেই মনে,
মুখ ফিরিয়ে চলে গিয়েছিলে অন্যের দিকে
তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম ! দুটো কথা মুখ ফসকে বের হয়েছিল ।
তারপর চুপ !
দিনটি আমার পূনর্জন্ম ক্ষণ ।
বুঝেছিলাম পথিক তুমি একদা পথ হারাইয়াছিলে
আজ খোঁজো !
পথ খোঁজার চেষ্টা কর আপন বাঁচার স্বার্থে ।
কেন জানি পথের আর প্রয়োজনও বোধ করি নি,
জানবে হয়তো, পথ হারিয়ে পথ চললে পথিকের
দরকার হয় না হারানোর বা কিছু চাওয়ার ।
ছিল ৫টি বর্ষা !
নিজেকে এতটা নিজের আপনও বোধ করি
মনে হয়নি কখনো ।
ভাসানোর-সাধ সাধ করি এ জীবনে না আসুক
তবে, জানো কি? আর সব পথিকের মত আমি অতটা ভাল না ।
পথ হারালেও হুশ হারাইনি
মন হারালেও জ্ঞান হারাইনি
যদি তোমার মোহেই হারাই,
তবে নিশ্চই আমার উপস্থিতি নিশ্চিত
আর এই নিশ্চয়তাটুকুই তোমার কাল হবে ভবিষ্যতে !
ভেবো নাহ্ !
তোমায় পুড়িয়ে মারবো না ।
জ্বালিয়েও মারবো না ।
অশ্রুজলে ভাসিয়ে ডুবানোর কথা তো মাথাই নেই
নরকের সংস্রবে ছুঁড়ে ফেলে মারার মত ভুলও করবো না ।
অক্ষানলে দাহন করবো তোমারে নারী;
অধুনালিপ্ত বনগঙ্গাও কেঁপে ঊঠবে সে দহন দেখে
তোমায় মারবো যতক্ষন না ৩৩কোটি দেব-দেবীস্বরূপ
তোমার পূর্ব পুরুষ এসে আমারে প্রার্থিবে ।
জেনে রেখো বিষময়ী !
ক্ষমা করবো না আর একটিবারো তোমায় ।
আসুক, শুধু মানব না;
শত দেব-নর-যক্ষ। বিশ্বাস করো,
ঈশ্বরে আস্থা থাকলেও ছাড়বো না কোনো দেবতায়
নিলে পক্ষপাতিত্ব করাবো সবারে দাঁড়
ওরা সময়ের পূজা সময়ে চায় ছুঁড়ে ফেলে সব ন্যায়-অন্যায় !
করবো বধ !
ভীষ্ম নই আমি, দয়াবান সত্য কিংবা নয় দাবি দেব-দেবপুত্র
ক্ষত্রিয় আমি ! এ রক্ত প্রতিশোধে ভরা !
তোমার দেয়া প্রতিটি ক্ষতে
বিষ মেখেছি আমি ।
পুষে বইবো তোমারে দহিতে
বাঁধব অর্জুনের শরবাণ হও যতই পরমাত্মীয় ।
ঈশানকোণের লাল সূর্যটাকে স্নান করাব সেই রক্তে !
ও হ্যাঁ ! জেনে নাও আরেকটি সত্য ।
কোনো উপায় পাবেনা চোখ বুজতে শান্তিতে
শরশয্যায় শুইয়ে ছিনব তোমার ও নির্লজ্জনেত্র ।
মনে রেখো নারী ! মনে রেখো !
...
©May, 2015
Comments
Post a Comment